রাত ২টা। গত ৪/৫ দিন খুব ব্যস্ততায় কাটল। ব্যস্ততা থেকে এখনও পুরোপুরি পরিত্রান পাইনি। এই ব্যস্ততার মাঝেও কোথায় যেন একটা শুন্যতা। তুমি কাছে থাকলে হয়ত এই শুন্যতাটা থাকতনা। অন্তত প্রতিদিন একটা করে মেইল পেলেও এই শুন্যতার অনেকটা কাটিয়ে উঠতে পারতাম। প্রতিদিন কিছুক্ষন পরপর মেইল চেক করি। প্রতিবারই মনে হয় তোমার একটি মেইল পাব। কিন্তু বারবারই হতাস হই। ছেলেদের ক্যম্পাসে গিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা তোমার জন্য সমস্যা হয়ে যায় বলে আমার কষ্টটিকেই ভালবাসার এই মরুভূমিতে পুতে ফেলতে বাধ্য হলাম। তুমি তো দু’একটা চিঠি লিখে ডাকে পাঠাতে পার, কি পার না? আসলে আমার এই আবেগটিকে তুমি কতটুকু গুরুত্ব দিচ্ছ বা আদৌ দিচ্ছ কিনা, কিছুই বুঝতে পারছিনা। তোমার সাথে যোগাযোগ রক্ষার সব দায়িত্ব কি শুধু আমার একার?
তুমি আসলে কি রকম ছেলে চেয়েছিলে আমি বুঝতে পারছিনা। তবে এইটুকু বুঝতে পারছি, ত্রিভুজ ABC ত্রিভুজ DEF এর উপর সমাপতিত হয়নি। আর তুমি নিজের অবস্থানে অটল থেকে চেষ্টা করছ যে কোন ভাবেই উপপাদ্য মিলাতে। তুমি হয়ত জাননা, জীবনের উপপাদ্য মিলাতে গেলে নিজের অবস্থানে অটল থাকা যায়না। “sacrifice নামক যন্ত্রটি দ্বারা নিজের বাহুগুলিকেও কেটে না লম্বা করে একটি সুভিদাজনক অবস্থানে নিতে হয়”।
আমার খুব খারাপ লাগছে এই কথাগুলো লিখতে। কিন্তু কি করব। আমার এই কষ্টের কথা বলার মত মানুষ আর কে আছে তুমি ছাড়া? কিন্তু তুমিও যে রকম ভাব দেখাচ্ছ, বুকের ভেতর চাপা দিয়ে হজম করা ছাড়া আর কোন উপায় দেখছিনা। যেগুলো হজম হয়না বা বদ-হজম হয়, সেগুলোই কেবল কলমের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসতে চায়।
গত তিন দিনে তিন ঘন্টা ঘুমিয়েছি কিনা সন্দেহ আছে। তাও আবার চেয়ারে বসে। খুব ঘুম পাচ্ছে।
Tuesday, February 20, 2007
Subscribe to:
Posts (Atom)